{ads}

Type Here to Get Search Results !

How To Earn Money By Blogging In Bangladesh (A2Z Guideline)

0

ব্লগিং করে ইনকাম এমন কথা আপনারে অনেকে শুনে থাকবেন। সেটা আসে কিভাবে করে? আর সেটা কও সবাই করতে পারে কি না সেই বিষয়ে আজকের পোষ্টে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো।  আজকের পোষ্টে আপনাদেরকে ব্লগ এবং ব্লগার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা দেয়ার চেষ্টা করবো। আরেকটা তথ্য আপনাদেরকে জানাই ব্লগার মূলত তারা যারা ব্লগ পরিচালনা করে।


How To Earn Money By Blogging In Bangladesh
How To Earn Money By Blogging In Bangladesh



ব্লগ কি?How To Earn Money By Blogging In Bangladesh


ব্লগ মূলত অনলাইনে লেখা লেখি করার একটা মাধ্যম। বর্তমানে আমরা হামেশাই ব্লগ ব্যবহার করে থাকি। আপনাদের যদি উদাহরণ দিয়ে বলি সেটা হলো বিভিন্ন খবরের ওয়েব সাইট,করিতার ওয়েব সাইট ইভেন ফেসবুক ও হচ্ছে এক প্রকার ব্লগ।


আপনি আপনার নিজের নামে একটা ওয়েব সাইট খুলে তাতে এক বা একাধিক বিষয় নিয়ে লেখা লেখি করলেন। তবে সেটি হবে আপনার ব্লগ। তবে একটি বিষয় আপনাকে বুঝতে হবে সব ওয়েবসাইট-ই কিন্তু ব্লগ নয়।


কিভাবে ব্লগ তৈরি করতে হয়?


আগেই বলেছি ব্লগ মূলত এক প্রকার ওয়েব সাইট।  তাই আপনি বিভিন্ন মাধমে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। তবে এই পোষ্টে আপনার কিছু সহজ পদ্ধতিতে ব্লগ পরিচালনা করার ধারনা দিবো।


পৃথিবীতে কোটি কোটি ব্লগার রয়েছে তারা বিভিন্ন মাধমে ব্লগ পরিচালনা করে থাকে তবে বহুল ব্যবহৃত ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস এবং গুগলের ব্লগার। ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগ পরিচালনা অধিকতর সহজ এবং এতে সামান্য কিছু ইনভেস্টও করতে হয়। এই বিষয়ে আলাদা পো্যস্টে বলবো।


আমি যেহেতু নতুনদের উদ্দেশ্যে পোস্ট লিখছি তাই আমি আপনাদের ব্লগার.কম সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো।  ব্লগার.কম হচ্ছে গুগলের একটি ফ্রি সার্ভিস। এই প্ল্যাটফর্মেও প্রচুর ব্লগার কাজ করে ইভেন আমি নিজেও করি।


যেহেতু ব্লগার.কম একটি ফ্রি প্ল্যাটফর্ম তাই এর কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ব্লগার.কম এ ব্লগ তৈরি করতে হলে আপনার থাকতে হবে - একটি পিসি,ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন সাথে একটি জিমেইল এবং ভালো মানের ইন্টারনেট লাইন তাহলেই হবে।


প্রথমেই আপনাকে ব্রাউজারে টাইপ করতে হবে www.blogger.com এরপর আপনার জিমেইল দিয়ে লগইন করে নিতে হবে। এরপর ক্রিয়েট ব্লগ অপশন থেকে ব্লগ ক্রিয়েট করে নিতে হবে এবং ভালো একটা থিম নির্বাচন করতে হবে। কেননা ব্লগ দেখতে ভালো হলে ভিজিটর আকৃষ্ট হবে। আশাকরি এতোটুকু সবাই পারবেন।


নিস বা বিষয় নির্বাচন


ব্লগ তৈরি হয়ে গেছে এবার আপনার একটা নিস নির্বাচন করতে হবে। নিস বলতে একটা নির্ধারিত বিষয় কে বুঝায়। আপনার ব্লগ আপনি কোন বিষয়ের উপর লিখতে চান তা নির্ধারণ করতে হবে। এমন না আপনার ব্লগে সকল বিষয়ে লিখবেন। আপনি যে কোনো একটি বিষয়ে লিখবেন।


আবার অনেকে একাধিক বিষয় নিয়েও লেখালেখি করে থাকে। তবে আমার সাজেশন থাকবে আপনি একটি বিষয় নিয়ে লিখুন। তাতে করে আপনার লেখার মান ভালো হবে আর ভিজিটের যখন প্রয়োজন হবে তারা সরাসরি আপনার ব্লগে চলে আসবে কারন তারা বুঝতে পারবে আপনি একটা স্পেসিফিক বিষয় নিয়ে লিখেন।


আর একটা কথা আপনি যে বিষয় নিয়ে লেখেন না কেনো সেই বিষয়ে যেনো আপনার সুস্পষ্ট ধারণা থাকে। মানে আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সে বিষয় নিয়ে লিখবেন।


কন্টেন্ট রাইটিং বা পোস্ট লেখা


আপনি একটি সুন্দর ব্লগ তৈরি করলেন বিষয় নির্বাচন করলেন কিন্তু সেই বিষয় নিয়ে যদি আপনি কন্টেন্ট না লিখেন তবে আপনার ব্লগ পরিপূর্ণ হবে কিভাবে?  আপনার ব্লগ পরিপূর্ণ হবে তখনই যখন আপনি আপনার নির্বাচিত বিষয়ে আপনার ব্লগে কন্টেন্ট লিখবেন।


নতুনদের কাছে পোস্ট লেখা একটু জটিল বিষয় বলে মনে হয়। যেমন আমার কাছে মনে হয়েছিল। তবে আপনি নিয়মিত লিখলে আপনার জড়তা কেটে যাবে। আর পোস্ট লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে। এতে করে আপনার পোষ্ট গুগলে র্য্যাংকে সাহায্য করবে।


What is SEO? How to do new website SEO?


কন্টেন্ট লিখার ক্ষেত্রে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনি যা লিখেছেন তা সুস্পষ্ট হয়। কেননা সহজে পানযোগ্য পোস্ট ভিজিটর আকৃষ্ট করে এরং অনপেজ এসইও তে ভূমিকা রাখে। আপনার পোষ্টে হেডিং সাব-হেডিং আবশ্যই ব্যবহার করবেন। ভালো একটা পোষ্ট থামনেই বা পোস্টে ফোটো ব্যবহার করতে হবে। লেখা গুলো প্যারা আকারে লিখবেন। এবং আপনার কন্টেন্ট যেনো হাজার + শব্দের হয় অবশ্যই হতে হবে। আপনি যদি কোনো টিউটোরিয়াল কন্টেন্ট লিখেন চেষ্টা করবেন পুরো টিউটোরিয়াল যেনো একই পোস্টে শেষ হয়।

ইনকাম কিভাবে হবে?


একটা ব্লগ হতে নানা ভাবে ইনকাম করা যায়। তবে সব থেকে জনপ্রিয় দুইটা মাধ্যম হচ্ছেঃ-


১। গুগল অ্যাডসেন্স।
২। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।


গুগল অ্যাডসেন্সে মূলত আপনার ওয়েবসাইটে তাদের অ্যাড প্রদর্শনের মাধ্যমে আপনাকে পেমেন্ট করে। এরা অধিক জনপ্রিয়। অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্লাই করার ক্ষেত্রে আপনাকে তাদের কিছু সহজ ক্রাইটেরিয়া পূরন করতে হয়। যেমন ধরুন আপনার ব্লগের বয়স, পোস্ট সংখ্যা,আপনার নিস ইত্যাদি। 


গুগল অ্যাডসেন্সে আপনার ওয়ের সাইট অ্যাপ্রোভ হতে ২/৭ দিন সময় লাগে কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটু বেশিও লাগবে পারে। আপনাদের ব্লগে আপনারা নিয়মিত পোস্ট লিখে ৩/৪ মাস পড় গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদন করেন।


অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার ব্লগ থেকে ইনকাম করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার ব্লগে প্রচুর ভিজিটর থাকতে হবে।


How to make money from affiliate marketing in Bangladesh ( A2Z guidelines)

এছাড়াও আপনার ব্লগে অ্যাড স্পেন ভাড়া দিয়েও ভালো একটা এমাউন্ট মাসে ইনকাম করতে পারবেন। কিভাবে সেটা বুঝিয়ে বলি। আপনারা হয়তো দেখে থাকবেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ঠিক লগোর পাশেই বাংলাদেশী কোন কোম্পানির অ্যাড দেখাছে ওই গুলা হলো লোকাল অ্যাড বা স্পন্সর অ্যাড। আমার ব্লগের পেজভিউ এর উপর নির্ভর করে এর দাম নির্ধারণ হয়ে থাকে।


অ্যাডসেন্স অথবা অ্যাফিলিয়েট আপনি যাই করেননা কেনো আপনার ব্লগে যখন ভিজিটর আসবে ঠিক তখনই আপনার ইনকাম হবে। আর ভিজিটর আনতে হলে আপনাকে অবশ্যই কোয়ালিটি কন্টেন্ট লিখতে হবে। ব্লগারদের ভাষায় একটা কথা আছে। কন্টেন্ট ইজ কিং।


আপনি যদি অগোছালো পোষ্ট লিখেন অন্যের লেখা কপি-পেস্ট করেন তবে আপনার সকল পরিশ্রম বৃথা যাবে। আপনি না পাবেন অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রোভ না পাবেন অ্যাফিলিয়েট অ্যাপ্রোভ। তাই আপনাদের বলবো আপনাদের কন্টেন্ট যেনো কিং হয়।  তবেই আপনার ব্লগ হতে ভালো কিছু আশা করতে পারবেন।


Tags

Post a Comment

0 Comments

Top Post Ad

Below Post Ad